review
বইয়ের নাম - শেষ নাহি যে
লেখক -ইন্দ্রনীল সান্যাল
এই উপন্যাসের নায়ক আর নায়িকা দরিয়া আর বিহান।এই কাহিনী মফস্বলের দুটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের।বিহান আর দরিয়া স্কুলে পড়ার সময় থেকেই একে অপরের সঙ্গে পরিচিত। পরবর্তী পর্বে দুজনের বিয়ে হয়।তারা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ভালো থাকার। যেহেতু দরিয়াকে বিহানের বাড়িতে মেনে নেয়নি তাই সে বাপের বাড়িতে থাকে। প্রাইভেট টিউশনি করে সংসারে সাহায্য করে আর নিজেদের ভবিষ্যতে র জন্য টাকা জমায়। বিহান বকুল তলা পোর্টে ডেটা এন্ট্রির কাজ করে সপ্তাহে একবার বাড়িতে আসে। দরিয়া অন্তঃসত্ত্বা,সে স্হানীয় একটা নার্সিং হোমে ডাক্তার দেখায়।দরিয়ার বাবা ঠিক করেন যে ওই নার্সিং হোমেই দরিয়ার সন্তান জন্ম নেবে।
কার্যক্ষেত্রে তার হয় না। দরিয়ার যেদিন প্রসববেদনা হয় সেইদিন সকালেই জনপ্রিয় একজন নেত্রী আততায়ীর হাতে খুন হন।সকাল থেকেই চর্তুদিকে রাজনৈতিক দল গন্ডোগোল শুরু হয়ে যায়।এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে অটোতে করে যখন দরিয়াকে নিয়ে তার বাবা নার্সিং হোম যাচ্ছেন তখন ওদের অটোর পিছনে রাজনৈতিক দলের বোমা এসে পরে।দরিয়ার পায়ে বোমার টুকরো ঢুকে যায়।
দরিয়ার পায়ে বোমার টুকরো ঢুকে গিয়েছে বলে নার্সিং হোমের ডাক্তার এটা পুলিশ কেস হবে বলে দরিয়াকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে চান না। ওদেরকে সরকারি হাসপাতালে যেতে বলেন।
ইতিমধ্যে দরিয়ার বাবা বিহানকে খবর দেয় আসার জন্য।
বিহানকে দরিয়ার কাছে পৌঁছানোর জন্য অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়। এতো রাজনৈতিক দলের গন্ডোগোলের মধ্যে দিয়ে কিভাবে দরিয়া কিভাবে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মেয়ের জন্ম দেয় সেইটাই পরবর্তী গল্পটা।
আমার গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে।