তিনুতান্ত্রিকের পুঁথি
সৈকত মুখোপাধ্যায়
ব্যস্ততার মধ্যেও সৈকত বাবুর লেখা এই মজার কাহিনীটি শেষ করলাম। অনেকদিন পর ছোটবেলার সেই অনাবিল মজার অনুভূতি ফিরে পেলাম। কাহিনীর সূত্রপাত বর্দ্ধমান জেলার এক অখ্যাত গ্রামে। সেই গ্রামের ভূতচন্ডী নদীর ধারে অবস্হিত এক শশ্মান আর সেই শশ্মানের অদূরে একটি টিলার উপর দেখা যায় এক পরিত্যক্ত বাড়ি।ঐ পরিত্যক্ত বাড়ির মালিক হলেন তিনু তান্ত্রিক। গ্রামের বয়স্ক থেকে বাচ্চা পারতপক্ষে কেউই সে পথ মাড়ায় না, কারন গ্রামের সকলেই ছোটবেলা থেকেই তিনু তান্ত্রিকের অনেক অলৌকিক ঘটনা সম্পর্কে শুনে বড় হয়েছে। গ্রামের মানুষের মধ্যে কথিত আছে য তিনু তান্ত্রিক গোপনে মহামূল্যবান কিছু আবিস্কার বা তৈরীর চেষ্টা করছেন। হঠাৎ একদিন তিনুতান্ত্রিক তার সেই ভিটে ছেড়ে চলে যান, কিন্তু সেখানে রেখে যান অনুস্বার, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দুকে। অনুস্বর, বিসর্গ আর চন্দ্রবিন্দু হল তিনুতান্ত্রিকের বশীভূত তিন ভূত।
এইভাবেই বহুবছর তিনু তান্ত্রিকের অনুপস্থিতিতে শুয়ে বসেই দিন কাটছিলো তিন ভূতের। গ্রামের মানুষের মধ্যেও তিনু তান্ত্রিকের বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা সম্পর্কে আলোচনায়ও খানিক ভাটা পড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন তিনুতান্ত্রিকের সেই পালকি টাকে নদীর ধারে শূন্য ভাসতে ভাসতে মেতে দেখে সবাই ভাবে তিনু তান্ত্রিক ফিরে এসেছেন। সত্যিই কি তিনি ফিরে এসেছেন? ফিরে এলেন তার অসমাপ্ত মহামূল্যবান আবিষ্কারের জন্য? নাকি অন্য কিছু? সব উত্তর পেতে পড়ে দেখতেই পারেন এই কাহিনী।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Apratim
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।