খারিজ
রমাপদ চৌধুরী
বাড়ি বদলে যাওয়ার মতো বদলে যাওয়া মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার স্যাপার ছোট পরিসরে কয়েকটি পাতায় আঁকার মুন্সীয়ানায় মুগ্ধ রাখার এক আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে রমাপদ রায় সাতচল্লিশ বছর আগেই লিখে গেছেন চকচকে ফকফকা আলোর ভিতরকার অন্ধকারের আলোকচিত্র।
খিদের জ্বালা জুড়াতে একাল সেকাল সব কালেই কচি কচি হাতে হাড়ভাঙা খাটুনির দায়িত্ব পরিবার কিছুটা দায়ে পড়ে কিছুটা স্বভাব দোষে দুপয়সার দান দুহাত পেতে নিয়েছে।
আসছে বছর বাড়ি যাবে-এ প্রত্যাশার প্রতিশ্রুতি বরাবরই মাসান্তে বেতন সমেত বিদায় নেওয়া পালানদের পিতার প্রিয় বুলি হয়ে এই বিশ্ব চরাচরে যুগান্তরের দুর্বিপাকে ঘুরছে দিবারাত্রি।
জয়দীপরা হয়ত সামান্য মর্মপীড়ায় ভুগে এই মর্মান্তিক ঘটনাতে, কিছু দিন লোক বাঁচিয়ে চোখ এড়িয়ে চলতে থাকা জীবনে সন্তানহারা হারানের সাথে হায় প্রকাশ করে ঠিকই। কিন্তু টনক নড়তেই পলকের মধে্যই পথ পাল্টে উকিল বাড়ি মাড়িয়ে ডাঃ খানা পেরিয়ে খুনের খানাখন্দ থেকে পার পাওয়ার রাস্তাখানি ঠিকই পরিস্কার করে ফেলে দিনশেষে।
পালানের মৃত্যু কার্বন মনোঅক্সাইডের ধুঁয়ায় না অদিতির উপেক্ষায় অবহেলায় প্রবল শীতে ধুঁকে ধুঁকে প্রাণপ্রদীপ নিভে যায় তাতে কারো কি বা আসে যায়। কোর্টের it was a case of plain and simple accident রায়ের আড়ালেই চাপা পড়ে যায়।
এতদিনের অপরাধবোধের সমাপ্তি উপহাসে উপসংহার দেয়।কে জানে আরো কত যুগ ধরে এভাবেই খারিজ হয়ে যায় কতশত পালানের প্রস্থানের নেপথ্যে মূল হেতু।
রেটিং:৪.৫/৫
রিভিউটি লিখেছেনঃ Esrat
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।