বইয়ের নাম - কালকেতু সমগ্র (খণ্ড ১, ২ এবং ৩)
লেখক - রূপক সাহা
আমার রেটিং - ৭/১০
বাংলা সাহিত্যজগতে আর একজন গোয়েন্দার সাথে পরিচিত হলাম। মূলতঃ যিনি নিজেকে পরিচয় দেন "পেশায় সাংবাদিক, নেশায় সত্যান্বেষী", তবে তার মতে এখন আর ফেলুদা-ব্যোমকেশ-কিরীটি এর যুগ নেই, এখনকার গোয়েন্দাগিরি আগের থেকে আলাদা।
সাংবাদিক হিসাবে বহু বিখ্যাত মানুষের সাথে তার পরিচয়। তার শখের গোয়েন্দাগিরির জন্যই তার ডাক পড়ে ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের বিশ্বরেকর্ড করা ব্যাট এবং কপিলদেবের বিশ্বরেকর্ড করা বল খুঁজে দেওয়ার জন্য যা আরেকটু হলেই পাচার হয়ে যাচ্ছিল বিশ্বের কোটিপতি সংগ্রাহকদের কাছে যারা টাকার বিনিময়ে পৃথিবীর সকল অনন্য সংগ্রহ সাজিয়ে রাখতে চান তাদের নিজেদের ড্রেসিংরুমে। একইভাবে ব্রায়ান লারার গ্লাভস বা সৌরভ গাঙ্গুলীর হিরের আংটি খুঁজে দেওয়ার ভার পড়ে গোয়েন্দা কালকেতুর উপর। সবকটি গল্পই খুব সাবলীলভাবে লেখা। এখানেই লেখকের মুন্সিয়ানা। তৃতীয় খণ্ডে এসে দেখতে পাই কালকেতু নন্দী তার সাংবাদিকতার চাকরী ছেড়ে দিয়ে এখন পুরোপুরি গোয়েন্দা এবং শিক্ষক, তিনি নিজের একটি ইনস্টিটিউট খুলেছেন ভাবী গোয়েন্দা গড়ে তুলতে, এবং তৃতীয় খণ্ডে চারটি গল্পের মধ্যে তিনটিতেই সেই ভাবী গোয়েন্দারা তার সহকারী হিসাবে কেস সলভ করতে সাহায্য করে। শেষ গল্পের নাম "গোয়েন্দা হওয়া সহজ নয়", যেখানে কালকেতু গোয়েন্দা হওয়ার মেড ইজি দিয়ে দিয়েছেন, তার ছাত্রছাত্রীদেরকে শেখানোর ছলে পাঠকদেরও শিখিয়েছেন কীভাবে ধাপে ধাপে এগোতে হয় কোনও কেসে।
সবকিছু ভালো, কিন্তু সম্পাদনাটি আরও ভালো হতে পারতো, কারণ, "কিরকেট" নামক গল্পটি প্রথম এবং দ্বিতীয় খণ্ড দুটোতেই আছে, আবার "থিম রহস্য" গল্পটি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খণ্ড দুটোতেই আছে। গল্প দুটিই খুব ভালো কিন্তু একই গল্প দুটি আলাদা আলাদা খণ্ডে রাখার কোনও কারণ আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে ধরতে পারলাম না।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।