ফাঁদ
রূপক সাহা
দীপ প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য -300
রূপক সাহার লেখা এই প্রথমবার পড়লাম। একেবারে টানটান থ্রিলার উপন্যাস। গল্পের বিষয় বস্তু না ভেঙেই বলছি উপন্যাসের পরতে পরতে মেশানো আছে রহস্য ও জটিলতা। কখনও সে জটিলতা মানব মনের আবার কখনো ঘটনাপ্রবাহের। এই ভাবেই এগিয়েছে গল্প । থ্রিলার উপন্যাসের ঢঙে একেবারে শেষে গিয়েই রহস্যের পর্দা উন্মোচিত হলেও বইটি শেষ করার তথা সত্য জানার আগ্রহে একটুকু ভাটা পড়েনি। রহস্য প্রেমীদের কাছে এ এক উজ্জ্বল মনি। যারা পড়েন নি তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন।
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
review
ফাঁদ -Rupak saha
পুরুলিয়ার গভীর রাতে অস্ত্র বর্ষণ। পরবর্তী দিনের সংবাদ পত্রের প্রথম heading এ সারা বাংলা হয়েছিল আলোড়িত।এই ঘটনা কেই আশ্রয় করে রূপক সাহা নির্মাণ করেছেন এই উপন্যাস। "ফাঁদ"! পূরুলিয়া য় নির্বাণ আশ্রমে দলাদলি! মহা সংকটে প্রতিষ্ঠান তার ওপর বিষ ফোঁড়া হিসেবে উপস্থিত বহিরাগত মানুষেরা. আশ্রমের আচার্য সত্যানন্দ বুঝে উঠতে পারছিলেন না এই বিপদ থেকে মুক্তি মিলবে কেমন করে? আশ্রমের নিরাপত্তার জন্যেই বা কি করবেন তিনি? আশ্রমের মূল মন্ত্র সম্ভোগ থেকে সমাধি তাতে আকৃষ্ট হয়ে প্রচুর ভক্ত আসেন এখানে. তাঁদেরই একজন আশ্বাস দিলেন আচার্য্কে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেলে বুলগেরিয়া থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে দিতে পারবেন তিনি. আশ্রমের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাজী হলেন আচার্য প্রভু. নির্ধারিত রাতে সেই আগ্নেয়াস্ত্র বিমান থেকে ফেলেও দেওয়া হল আশ্রমের চৌহদ্দির মধ্যে. কিন্তু সামান্য ভুলে বাক্স বোঝাই সেই অস্ত্র গিয়ে পড়ল কাছাকাছি দুটি গ্রামে. মিডিয়া শুরু করল হইচই! তারপর? আশ্রম এর কি হল আশ্রমিক রা কি বেঁচে গেলেন? আচার্য ই বা কোথায়? এর সাথে রয়েছে এক যুবক আর যুবতীর প্রেম আর রয়েছে বিশ্বাসঘতকতার কাহিনী। ব্যাস্ততার মাঝে এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেলার মতো thriller কাহিনী পড়তে হলে ভালই লাগবে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Samiran Das