ময়ূরাক্ষী
হুমায়ূন আহমেদ
ময়ূরাক্ষী হল হুমায়ূন আহমেদের লেখা হিমু সিরিজের প্রথম বই। এটি একটি ছোট উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই, তিনি অতি পরিচিত একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক। উপন্যাসটি "এ্যাই ছেলে এ্যাই" লাইনটি দিয়ে খুব আকস্মিকভাবে শুরু হয়। উপন্যাসটির মুখ্য চরিত্র হিমালয়, ওরফে হিমু। লেখক হিমুর শৈশব থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে হিমু চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন। কাহিনী অতীত, বর্তমান বিভিন্ন সময় স্রোতে ভেসেছে। হিমু চরিত্রটি খুব অসাধারণ, তার চিন্তা ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি আর পাঁচটা মানুষের মত নয়। তার কথাবার্তায় একদিকে যেমন রয়েছে দার্শনিকতা তেমনি রয়েছে অদ্ভুত রসিকতার রেশ। সে খামখেয়ালি, উদাসীন, লোককে বিভ্রান্ত করতে সে ভালবাসে। তারই সাথে তার আছে কিছু বিশেষ ক্ষমতা, তার বলা কিছু কথা কাকতালীয় ভাবে মিলে যায়। আর তার আছে এক নদী, ময়ূরাক্ষী; সেই নদী তীরে রয়েছে তার এক জগৎ, এক প্রশস্ত শান্তির ঠাঁই। কেউ তাকে অদ্ভুত চোখে দেখে, কেউ তাকে পাগল মনে করে; কিন্তু সকলেই তার প্রতি এক অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করে। হিমু তার বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী মহাপুরুষ হতে চায়, নির্লিপ্ত থাকতে চায়। সে তার বাবার দেওয়া উপদেশগুলো মেনে চলতে চায়। উপন্যাসটি হিমুকে ঘিরে আবর্তিত হলেও বাকি চরিত্ররা যেমন হিমুর ফুপু, ফুফা, বাদল, রিনকি, মজিদ, হিমুর বাবা, মামা, রূপা, মীরা প্রমুখ হিমু চরিত্রটিকে ভালোভাবে তুলে ধরেছে। উপন্যাসটি হিমুর জীবনের অনেকগুলো কাহিনী নিয়ে নির্মিত। এই কাহিনীর মাধ্যমে আমরা হিমুর সাথে সাথে অন্য চরিত্রগুলো সম্পর্কে জানতে পারি। এরকমই এক কাহিনী পাঠকদের কাছে হিমুর মা এর মৃত্যু রহস্য তুলে ধরে। এই গল্প জুড়ে রয়েছে ময়ূরাক্ষীর কথা, কিভাবে তা হিমুর সঙ্গে জড়িত তা জানতে হলে পড়তে হবে এই ছোট উপন্যাসটি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।