সর্বংসহ কালীগুণীন
(কালীগুণীন সিরিজের পঞ্চম সংকলন)
লেখক: সৌমিক দে
বিভা পাবলিকেশন
এই বইয়ে স্থান পেয়েছে কালীগুণীনের তিনটি (বা দুটি!) অভিজ্ঞতা।
কালীগুণীন ও সর্বনাশের হেঁয়ালিঃ (ফ্ল্যাপ)
পুরাণের সবচেয়ে রহস্যময়, বর্ণময় এক দাপুটে মহারাজ, জলধরের কাছে লুকিয়ে রেখে গেলেন দুইটি মহা সর্বনাশা রহস্য। একটি রাক্ষুসে মালা এবং একখানা পুঁথি। শিখিয়ে দিলেন তাকে লুকানোর অভূতপূর্ব কৌশলবিধি। সেই মহা সর্বনাশা শক্তি যদি হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্তমানের উপরে। কালীপদ কি পারবে গুপ্ত হেঁয়ালির মর্মোদ্ধার করে সেই মারণশক্তিকে প্রতিহত করতে?
প্রতিক্রিয়া: এটি দুই খণ্ডের একটি বৃহৎ উপন্যাসের প্রথম খণ্ড।
এই রাক্ষুসে মালা নিয়েই প্রথম খণ্ড সমাপ্ত হয়েছে। এতে ভয়ের মাত্রাও ছিলো প্রচুর। বিশেষ করে অন্য গুণীন বা তান্ত্রিক ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা দেখানো এই গল্পেও রয়েছে। এখণ্ডে কালিগুণীন তন্ত্রের পাশাপাশি ধাঁধাঁ সমাধানেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।
এই গল্পে "ব্রাক্ষণ। নাম কালীপদ। মুখুজ্জে। নিবাস রায়দীঘড়া" অংশটুকু নেই।
কালীগুণীন আর ধ্বংসের পুঁথি: (ফ্ল্যাপ)
পরমাশ্চর্য এক পুঁথির থেকে দাঁত, নখ বিস্তার করে উঠে দাঁড়ালো কোন রাক্ষুসে মরণদূত? এক হেঁয়ালির পিছু করতে করতে কালীপদ পৌঁছে গেল মুঙ্গেরের এক অতি রহস্যময় তালুকে। কী রহস্য লুকিয়ে আছে গাঁয়ের আনাচে কানাচে? কেন সেখানে স্থানীয় অধিবাসীরা সন্ধ্যা নামলেই কানফাটানো শব্দে দামামা, খোল, করতাল বাজানো আরম্ভ করে? কোন ঘুম-ভাঙা রাক্ষসের গর্জনকে ধামাচাপা দিতে চায় তারা?
প্রতিক্রিয়া: এটা "কালীগুণীন ও সর্বনাশের হেঁয়ালি"এর পরবর্তী খন্ড। প্রথম খণ্ডে উল্লিখিত "পুঁথি" নিয়েই এই গল্পের কাহিনী বিন্যাস। এই গল্প যতই এগোতে থাকলো,কালিগুণীন যেন ধীরে ধীরে গুণীন থেকে গোয়েন্দা হয়ে উঠতে লাগলেন। তন্ত্র বাদ দিয়ে "মগজাস্ত্র" ব্যবহার করেই যেন পার করে দিলেন। মনে হলো,কোনো পৌরাণিক স্বাদের গোয়েন্দা গল্প।
কালীগুণীন বনাম শাণিয়াড়ির প্রেতঃ (ফ্ল্যাপ)
জমিদার তারাপ্রসন্ন আটকে দিলেন কুটিল কাপালিক ভৈরব এবং তরঙ্গিণীর পৈশাচিক অভিসন্ধি। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই গ্রামে আবির্ভাব ঘটল এক মহা সংহারক অপশক্তির— পানিমূড়া। গোটা গ্রাম শ্মশান হয়ে যাবার উপক্রম। জলে নামলেই মৃত্যু অনিবার্য। কালীগুণীন কি পারবে বাঁচাতে শাণিয়াড়ির জনজীবন?
প্রতিক্রিয়া: প্রথম দুটো(বা একটা!) কাহিনীর হিসেবে এই গল্পের কলেবর এবং ঘটনার স্থানও অনেক ছোট। তবে এই গল্পে দেখা পাওয়া যায় সেই চিরপরিচিত তন্ত্র এবং ধূর্তবুদ্ধির খেল দেখিয়ে কুপোকাত করা কালিগুণীনকে।
পরিশেষে বলা যায়, প্রথম দুটি কাহিনীতে লেখক কালিগুণীনকে চেনা ছন্দের বাইরে উপস্থাপন করে একটু ভিন্নভাবে কাহিনী বুনেছেন। শেষটায় ফিরেছেন আবার চিরচেনা পথে। ভিন্ন স্বাদের এই কালিগুণীনকে সবার ভালো লাগে কিনা,তাই দেখবার বিষয়।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।