সত্যি সাবিত্রী
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
নির্মাণ--লীনা গঙ্গোপাধ্যায়
এই গ্রন্থে বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের অন্যতমা স্মরণীয় অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জীবন কাহিনী মূলত গল্পের আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। সাবুর ছোটোবেলার দেশ বাংলাদেশের স্মৃতি তার জীবন কাহিনীর পরতে পরতে এসেছে।এসেছে দেশ ছেড়ে আসার দুঃখ বেদনার কথা। দেশের মাঠ-ঘাট, পুকুর, নদী অর্থাৎ প্রকৃতির কথা বারে বারে এসেছে।পরবর্তিকালে কলকাতায় অসময়ে তার আত্মীয়-স্বজনেরা মুখ ফিরিয়ে নেয় আর সময়ে সেই আত্মীয়রাই এসে ভিড় করেছিলেন।তার পরিবারের কথা আছে।তারা নয় বোন ছিলেন এবং সব থেকে ছোটো ছিলেন সাবিত্রী।তার দিদিরা সবসময় তাকে আগলে রেখেছেন। ছোটো থেকেই ডানপিটে মেয়ে ছিলেন।
সাবু ছোটোবেলা থেকেই সিনেমা দেখতে খুব পছন্দ করতেন, সেইসূত্রেই কাননদেবীকে তিনি তার স্বপ্নের নায়িকা মনে করতেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম তাকে নাটকের দলে নিয়ে আসেন।তার জীবনটা আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে।তার স্বপ্নের জগত বাস্তবের জগতে পরিনত হতে থাকে।
সাবুর জীবনে প্রেম-ভালোবাসার স্থানে দুটি মানুষের কথা বারেবারে এসেছে। একজন হলেন উত্তম কুমার আর আরেকজন হলেন অবাঙালী সর্বেন্দ্র।দুজনেই ছিলেন বিবাহিত।এদের কাছ থেকে প্রেম-ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি আঘাত বেদনাও পেয়েছেন।তাদের আঁকরে ধরে থাকার কথাও এসেছে।তার জীবনে মানসিক ঘাত-প্রতিঘাত আর তার সাথে একাকিত্বের যন্ত্রণা আছে।তবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও তিনি সবসময় মাটির কাছাকাছি থাকতেন।তবে তিনি সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গেছেন।
কিছু জিনিস এই বইয়ে নেই,যার আমি ব্যক্তিগতভাবে অভাববোধ করেছি,তা হল, এক-যেহেতু তিনি অভিনেত্রী হিসাবে জনপ্রিয় তাই বিভিন্ন বাংলা ছবি সম্পর্কিত ঘটনা,তার সাথে অনান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের (উত্তম কুমার ছাড়া) কথা তেমন নেই। দুই -কোনো সাল তারিখের উল্লেখ বইয়েতে নেই।এগুলি থাকলে হইতো বইটি আরও সমৃদ্ধ হত।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।