বইয়ের নাম - বিস্ফোরণ
লেখক - প্রফুল্ল রায়
এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে 2012 সালে। লেখক এখানে বইটির ভূমিকাতে বলেছেন যে গত আঠেরো বছর ধরে সন্ত্রাসবাদীদের মূল লক্ষ্য হলো বানিজ্য নগরী মুম্বাই। বিশেষ করে মুম্বাইয়ের হীরের বাজার। এখানে দুটো হীরের বাজার জাভেরি বাজার এবং অপেরা হাউস।
এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার হিরে কেনাবেচা হয়।
ফার ইস্ট,মিডলইস্ট,অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে খদ্দেররা এখানে আসে হিরে কেনাবেচা করার উদ্দেশ্যে। এখানে জঙ্গিরা বার বার হানা দিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ভারতের সুস্হিত অর্থ নৈতিক অবস্হা তছনছ করে দেওয়া।
গল্পের প্রধান চরিত্র বিজয় ভালো রেজাল্ট করে গ্ৰাজুয়েট হওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও কোলকাতায় কোনো চাকরি জোগাড় করতে না পেরে মুম্বাই রওনা হয় একটা চাকরির খোঁজে।
মুম্বাই এসে বিজয় তার স্কুলের একজন বড়দাদার সহোযোগিতায় একটি চাকরি জোগাড় করে।
কিন্তু ওই দাদা তাকে বলেন যে শুধু চাকরির উন্নতির উপর আশা না করে যেন ব্যাবসার চিন্তা করে আরও বেশি রোজগার করতে পারবে আর তার উপর সংসারের যে ভার তার অনেকটা লাঘব করতে পারবে।
বহুদিন ধরে বাজার ঘুরে বিজয় ঠিক করে বাঙালি খাবারের দোকান দিলে এখানে ভালো চলবে। কেননা জাভেরি বাজার আর অপেরা হাউসের সামনে কোনো বাঙালি খাবারের দোকান নেই।
গল্পের শুরুতেই দেখা যায় যে বিজয়ের দোকান রমরমিয়ে চলছে সে খদ্দেরদের সামলে উঠতে পারছে না। তার একজন আ্যসিস্টান্ট রয়েছে।ব্যাবসায় উন্নতির পর বিজয় তার ভাই বিমলকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
যেদিন জাভেরি বাজারে বিস্ফোরণ হয় সেইদিন বিমল কোনো পার্টির খাবার পৌঁছে দিতে যায়। ফেরার সময়ে দুর্ঘটনায় পরে।
এছাড়াও পদ্মিনী ফার্নান্ডেজ এই গল্পের একটি বিশেষ চরিত্র । বিজয় পদ্মিনীকে ভালোবাসে।
বিমল দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার দেহ নিয়ে বিজয় কোলকাতায় ফিরে আসে। বিজয় মনের দিক থেকে এতটাই মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে আর মুম্বাই ফিরে যাবে না ঠিক করে।
কিন্তু বিজয়ের বাবা চায় যে ও আবার মুম্বাইতে ফিরে যাক নাহলে আবার সংসারের দারিদ্র্যতা ফিরে আসবে।
অপরদিকে পদ্মিনী বার বার বিজয়ের কাছে ফোন করে জানতে চায় কবে ফিরবে। সবদিক বিবেচনা করে বিজয় আবার মুম্বাইতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।