উপন্যাস - বুলু ও অচিন দ্বীপ
লেখক- ইমাদুল হক মিলান
আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী
সময় ক্রমশ ধাবমান। তার পিছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। কিন্তু সহজে কি পুরাতন স্মৃতি ফেলে আসা যায়? বারবার ইচ্ছা করে সময়কে আটকে রাখার। কিশোরীবেলা বিদায় নিলেও তার স্মৃতিটুকুকে মুঠোবন্দী করতে ইচ্ছা করে বলেই বছর বছর আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী কিনি। এবছর প্রথম পড়লাম ইমাদুল হক মিলানের বুলু ও অচিন দ্বীপ। মনে দাগ কেটে গেল উপন্যাসটা। দ্বিতীয়বারও পড়া যায় এমন মুগ্ধকর লেখা।
বুলু ও রবি অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। সমুদ্রের তীরে তাদের বসবাস। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ তারা। দুজনেরই বাবা নেই। থাকার মধ্যে বুলুর আছে একমাত্র দাদি আর রবির আছে ছোট্ট এক পরিবার। দুজনের স্বভাব চরিত্রও একদম আলাদা। তবুও তারা হরিহর আত্মা। প্রচণ্ড ডানপিটে বুলু একদিন কাউকে কিছু না বলেই উধাও হয় সমুদ্রে। কিন্তু সমুদ্রে সে পরে ডাকাতের খপ্পরে। ভাগ্যক্রমে ডাকাতদের থেকে প্রাণে বাঁচলেও ভেসে যায় অতলান্ত সমুদ্রে। তারপর কী হয় তা জানার জন্য পড়তে হবে উপন্যাসটা।
ছোট ছোট করে লেখক ছুয়ে গেছেন স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে। বাংলাদেশের এক নিম্নবিত্ত গ্রামে দরিদ্র জেলেদের জীবন ছবি এঁকেছেন। হিন্দু - মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্রতার সাথে সাথে তাদের বন্ধুত্বের গল্প বলেছেন। ভাসতে ভাসতে ডুবতে ডুবতে বেঁচে ফিরে আসার গল্প বলেছেন। এক সুন্দর মন ভালো করা উপন্যাস। পড়ে দেখতেই পারেন। ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।