Get PDF go here PDF Books Contact Us

কেবিন নাম্বার ৩০৫ - রিয়াজুল আলম শাওন Cabin No 305 by Reazul Alam Shawon

boibd
কেবিন নাম্বার ৩০৫
লেখক:রিয়াজুল আলম শাওন
ঘরানা:হরর
প্রকাশনী: সেবা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২০
প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১, ২০১৫

১)শিগব
তিশা রাতে একা ঘুমালেই "ও" আসে। ওই ব্যাপার নিয়ে বন্ধু আনোয়ারের দ্বারস্থ হলো তিশার প্রেমিক স্বপন। সব শুনে চমকে উঠলো আনোয়ার। তবে অতীতে একবার যে ভয়াবহ বিপদ মোকাবেলা করেছিলো, এবার কি সেই বিপদেই পড়তে যাচ্ছে তিশা আর স্বপন?

২)সন্দেহ
ফুটপাথ থেকে হুট করেই একটা সাদা রঙের শার্ট কিনলো সজল। এটা পরার পর থেকেই সবার মনের কথা বুঝতে পারছে সে। সত্যিই কি পারছে?

৩)লাল বৃত্তে বন্দী
নতুন বাসায় উঠেছে নাদিয়ারা। দোতলার বামদিকের একদম শেষ তালাবন্ধ ঘরটার ভেতর থেকে গোঙানির আওয়াজ আসে কেন?কেয়ারটেকারের কথা না শুনেই একদিন চুপিচুপি দেখতে গেলো নাদিয়া। এরপর....

৪)দূষিত রক্ত
খুলনা থেকে চট্টগ্রাম যাবার বাসে উঠেছে রূপন্তী। সহযাত্রী মায়াকাড়া চোখের অধিকারী এক লোক। কিন্তু....তিন ঘন্টায় লোকটি একবারও তাকালো না রূপন্তীর দিকে। ভেতর ভেতর জ্বলছে রূপন্তী। কিন্তু লোকটির হাতে হাতমোজা কেন?

৫)ওরা ভয়ঙ্কর
আনোয়ারকে চেপে ধরেছে সাংবাদিক রাজু। একটা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতেই হবে তার। অবশেষে না পেরে কুয়াকাটার অভিজ্ঞতার কথাই বললেন আনোয়ার। কুয়াকাটায় দেখা হয়েছিল যাদের সাথে।ওরা ভয়ঙ্কর।

৬)অন্য জগতের কেউ
মাঝে মাঝে মুখ ঢাকা এক বুড়ি গ্রামের যে কোনো ঘরে পানি চায়। কিন্তু মানুষ পানি নিয়ে বের হয়ে দেখে বুড়ি নাই, কিন্তু বুড়ি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো, সেখানে ছোপ ছোপ রক্ত। তখনই আতঙ্ক ছড়ায় পুরো গ্রামে। কারণ, আবার চলে এসেছে মানুষ নিখোঁজ হবার পালা।

৭)কেবিন নাম্বার ৩০৫
৩০৫ নাম্বার কেবিনে থাকা মানে মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখা। কিন্তু ঘটনাচক্রে ডা. সুমনের বাগদত্তা স্ত্রী রোদেলাকে রাখা হলো ৩০৫ নাম্বার কেবিনে। এরপর দেখা গেল রোদেলার অক্সিজেন মাস্কটা খোলা । পুরো শরীরে অসংখ্য আঁচড়ের চিহ্ন। গলার কাছ থেকে রক্ত ঝরছে । মনে হচ্ছে কোনও জন্তু যেন কামড় বসিয়েছে সেখানে। শরীরটা কেমন যেন কালচে হয়ে গেছে ওর...। সব জানতে পারল রহস্যপিপাসু আনোয়ার। সেধে বিপদ ডেকে আনল সে। থাকতে চাইল ৩০৫ নাম্বার কেবিনে। সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করল আনোয়ার।

.... .... .... ....
কেবিন নাম্বার ৩০৫ সংকলনের রক্ত হিম করা গল্পগুলো পড়লে সীমাহীন ভয়, তীব্র রোমাঞ্চ আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে। সর্বোপরি মৌলিক এবং ভিন্ন স্বাদের এই গল্পগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। সাবধান! একবার এই ভয়ের জগতে প্রবেশ করলে আর বেরোতে পারবেন না।

গল্পগুলো মোটামুটি ভয়ঙ্কর। আশি-নব্বইয়ের দশকে মার্কিন সিনেমা আর সাহিত্যে যে বীভৎসরসাশ্রয়ী হররের বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তারই অনুসারী এই লেখাগুলো। লোমহর্ষক করার পর্যাপ্ত চেষ্টা ছিল, কিন্তু আসলে বর্তমান সময়ে খুব বেশি ভয়ানক না হলে ভয়ে শরীর কেঁপে ওঠে না।


রিভিউটি লিখেছেনঃ 
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.

Popular Writers

Updates

{getWidget} $results={4} $label={recent} $type={list2}