বইয়ের নাম: দ্বিতীয় লিঙ্গ,
লেখক: সিমোন দ্য বোভোয়ার
'The Second S*ex'-এর অনুবাদ
অনুবাদক: হুমায়ুন আজাদ
এই যে আমরা কেউ 'পুরুষ' বা 'নারী' বা কেউ রূপান্তরকামী, তো আমরা 'পুরুষ' বা 'নারী' কীভাবে হয়ে উঠলাম। আমাদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য আলাদা জন্য? আমাদের ভাবনা-চিন্তা আলাদা জন্য? আমাদের কাজকর্ম আলাদা জন্য? কী জন্য একজন মানুষকে আপনি 'নারী' বলবেন— পুরুষরা যদি বলে যে সে পুরুষদের থেকে পৃথক বলে 'নারী' তাহলে একবার ভাবুন এই ধারণাটা তো 'নারী' ধারণা নয় এটা পুরুষেরটা আরোপিত ধারণা। আবার বিপরীতক্ষেত্রটাও সত্য একজন পুরুষের থেকে দেখতে আলাদা যাকে বায়োলজিক্যালি স্ত্রীলিঙ্গ বলা হয়, তাদের ধারণার জন্যই কি তারা নারী হয়ে উঠছে?
ফরাসি লেখক বেভোয়ার এটির ব্যবচ্ছেদ করে দেহতত্ত্বের ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। কীভাবে শারীরবৃত্তীয়, মনস্তাত্ত্বিক, মিথোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যগুলো সমাজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে নারী ধারণা তৈরি করছে, তারি ইতিহাস এই গ্রন্থটি।
বিশেষ করে এমন কিছু 'নারী'দের ভেতরের মনোজগতে সত্য ঘটনা তিনি প্রকাশ করেছেন যা আজকাল কোথাও দেখা যায় না। যেমন:
১. মাতৃত্ব এক প্রকার নারীর প্রাকৃতিক পেশা ও নাটক।
২. যে নারী নিজে নানা রকম শৃংখলে আবদ্ধ সে তার সঙ্গে বাকি সবাইকে ও শৃংখলে জড়িয়ে রাখতে চায় কারণ সেখান থেকে এক ধরনের স্যাডিস্টিক প্লেজার পাওয়া যায়।
৩. মাতৃত্ব নারীর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পেশা হলেও মানব জীবনে আমরা প্রতিমুহূর্তে প্রকৃতিকে অস্বীকার করার অনেক প্রমাণও পেয়েছি।
ফ্রয়েড, সমাজবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান থেকে শুরু করে মিথলজিকাল ভিউগুলো সমস্তই তিনি প্রমাণসহ তুলে ধরেছেন।
অনুবাদের লেখা মোটামুটি লেগেছে। গ্রন্থটি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনো পাঠক করতে পারেন।
ধন্যবাদ 😊
রিভিউটি লিখেছেনঃ Amit Das
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।