বই: প্রহেলিকা
লেখক: নাজিম উদ দৌলা
ঘরানা: থ্রিলার
প্রকাশনী: সতীর্থ
পৃষ্ঠা: ১২০
হার্ডকভার
প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল ১, ২০২১
................................................................................
গল্পটা একজন ডিটেকটিভের; যিনি হতে চেয়েছিলেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, কিন্তু নিয়তির পালা-বদলে আজ তিনি জাঁদরেল পুলিশ অফিসার।
গল্পটা একজন লেখকের; যিনি প্রিয়জনকে হারানোর স্মৃতি ভুলতে কলম ধরেছিলেন, কিন্তু ভাগ্যচক্রে আজ তিনি বেস্ট সেলার থ্রিলার লেখক।
গল্পটা এক সাইকোপ্যাথের; যে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় আর সুযোগ পেলেই নৃশংসভাবে খুন করে ভাগ্যবঞ্চিত শিশুদের।
তিনজন মানুষের গন্তব্য একসূত্রে গেঁথে দিলো "গাল্লি বয়" নামে একটি উপন্যাস। একের পর এক রহস্য, একটা সমাধান হতেই উঁকি দিচ্ছে আরো দুটো! সব রহস্যের সমাধান হবে একজনকে খুঁজে পেলে। তার আসল নাম কেউ জানে না, ছদ্মনাম- প্রহেলিকা
................................................................................
এটা একটা এয়ারপোর্ট নভেলা ধরণের যেখানে চরিত্র বিন্যাস থেকে কাহিনীর দ্রুতগতিতেই বেশি জোর দেয়া হয়।
যেমন, মনসুরের ক্ষেত্রেই বলা যাক। বলা হলো, সে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান না হয়ে ভাগ্যের ফেরে ডিবি পুলিশ। অতীত নিয়ে কোনো ফ্লাসব্যাকই নাই। অনেকটা "রাত্সাসান" এর প্রটাগোনিস্ট এর মতন হলেও সেখানে কিন্তু তার ব্যাকস্টোরি ছিলো। আর মনসুরের ক্ষেত্রে শুধু দুএকটা মজাদার ডায়লগ দিয়েই তার ব্যাকগ্রাউন্ড বিল্ড করার চেষ্টা হয়েছে। কোনো মানুষ সিরিয়াস পেশায় থেকে কৌতুক করে তার মানে তো এই না,সে আগে কমেডিয়ান হতে চাইতো।
মনসুরের তুলনায় নিয়াজের ব্যাকগ্রাউন্ড তুলনামূলকভাবে বেশি ফ্লেশড আউট করা হয়েছে অথচ প্রটাগোনিস্ট মনসুর।
এরপর যে (স্পয়লার এলার্ট) সাইকো ক্যারেক্টার এন্টাগনিস্ট, তার ব্যাকস্টোরি খুব বেশি চিত্তাকর্ষক হয়নি যে,তার প্রতি মায়া জন্মাবে। তাকে নিয়ে হয়তো আরেকটু কাজ করা যেত।
একসময় আশা করেছিলাম, ঈশিতা আর মনসুরের হয়তো কিছু একটা হবে(স্বীকার করছি, হলে ক্লিশে হয়ে যেত, তারপরও কিছু ক্লিশে ভালো লাগে)
এত কিছু লজিক খেয়াল না করে যদি শুধু একটার পর একটা টুইস্ট পাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তবে এই বইটা সেটা ঠিকমতন ডেলিভারি দিতে পেরেছে। এই বই পড়লেই বোঝা যাবে কেন নাজিম উদ দৌলাকে "টুইস্ট মাস্টার" বলা হয়।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Uchchash
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।