সেই ডাইরি টা
অর্পিতা সরকার
অনেকদিন পর এমন একটি রহস্য উপন্যাস পড়লাম যা বেশ কিছুদিন মনে দাগ কেটে থাকবে।
গল্পরের শুরুতে কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক খুন হন মাথায় আঘাত লাগে এবং শ্বাসরোধ করে।এই কেস এর দায়িত্ব পান ইন্সপেক্টর লাগঞ্জিতা।এর কিছু পরে ই খুন হন অধ্যাপকের অনুগত মন্টু।
অধ্যাপক এর স্ত্রী সরলা, ছেলে, রাহুল, বন্ধু মৃন্ময় এবং তার মেয়ে চন্দ্রাজা এরা হলেন মূল অভিযুক্ত ।এদের মধ্যে যে কেউ খুনি হতেই পারেন।
ইন্সপেক্টর খুনিকে খুঁজে পেতে শান্তিনিকেতন পৌঁছেজান বন্ধু কৌশিকের সঙ্গে। সেখানে সরলাদেবীর বোন যে প্রায় তারই মতো দেখতে এবং সন্ধান পান একটি মিশরীয় লিপিতে লেখা একটি ডাইরির।এখানে আরো এক পুলিস খুন হন।গল্প আবার মোড় নেয়।
আবার প্রশ্ন ওঠে তবে কি খুনি আবার অন্য কেউ এতক্ষন তো পাঠক প্রায় ভেবেই ফেলেছিল খুনি আসলে সরলা ।আসল খুনি কি ব্রাজমহনের প্রাতভ্রমনের সঙ্গীদের কেউ, নাকি আর কেউ। এর থেকে বেশি বলা যাবে না।
আবার বলি বহুদিন পর একটা টানটান উপন্যাস পড়লাম ।আমার ব্যক্তিগত রেটিং 8.5/10.
রিভিউটি লিখেছেনঃ ঝড়ের পাখি
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
#review
উপন্যাস - সেই ডাইরি'টা
লেখিকা - অর্পিতা সরকার
প্রকাশন - দীপ প্রকাশন
পৃষ্ঠাসংখ্যা - ২০০
রিভিউ লিখেছেন - শুভজিৎ বিশ্বাস
অর্পিতা সরকারের অমর সৃষ্টি সাব ইন্সপেক্টর লগ্নজিতা ভট্টাচার্যকে চেনেন !! আরে মশাই, চিনতে পারছেন না, অর্পিতা সরকারের 'ট্রাফিক সিগন্যালের কেসটা যিনি হ্যান্ডেল করেছিলেন, তিনিই !! এতক্ষণে মনে পড়েছে নিশ্চয় ।
অর্পিতা সরকারের নতুন কেস 'সেই ডাইরি'টা'। এই কেসের দায়িত্ব পড়েছে আবারও সেই সাব ইন্সপেক্টর, সরি ইন্সপেক্টর লগ্নজিতা ভট্টাচার্যের উপর। চলুন একটু কেসটা নিয়ে বিস্তারিত বলি,
ভোর চারটে নাগাদ মাথায় আঘাত লেগে শ্বাসরোধ হয়ে নিজের পড়ার ঘরেই খুন হন কলেজের ইতিহাসের প্রফেসর ব্রজমোহন চক্রবর্তী। তার থেকে বছর দশ বারোর ছোটো স্ত্রী সরলাদেবী একজন মানসিক রোগী। ব্রজমোহন চক্রবর্তী'র ছেলে রাহুল চক্রবর্তী একজন চাকুরীজীবি। রাহুলের প্রেমিকা ব্রজমোহন চক্রবর্তী'র বন্ধু মৃন্ময়- এর মেয়ে চন্দ্রজা। ব্রজমোহন চক্রবর্তী পড়াশোনা নিয়েই বেশিরভাগ সময় থাকতেন। তার একটাই দোষ তিনি কোনো কিছু চাপা রাখতে পারেন না। আবেগ আর বিশ্বাসের বশে সব গোপন কথা বলে দেন নিজের বন্ধু ও কলিগ সহ সব্বাইকে, এমনকি নিজেদের পরিবারের গুপ্তধনের কথাও। ব্রজমোহন চক্রবর্তীর একটাই অহংকার তার পূর্বপুরুষ এবং বংশ মর্যাদা নিয়ে। এদিকে নাটকের অভিনেত্রী সরলাদেবী বিয়ের আগে থেকেই একতরফা ভালোবাসেন মৃন্ময়বাবু'কে। খুনের দিন খুব ভোরে সরলাদেবী মৃন্ময়বাবু'কে ব্রজধামে ঢুকতে দেখেন তাই সরলাদেবী'র মনে হয় খুনী মৃন্ময়। এদিকে মানসিক রোগী সরলাদেবী নিজের মেয়ের মৃত্যুর পর ছেলেদের সহ্য করতে পারেন না। এমনকি নিজের ছেলেকেও না। দু'বার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে ব্রজমোহনকে খুন করার চেষ্টা করেছিল। সুতরাং সরলাদেবী আর মৃন্ময় বাবু তো আছেনই লগ্নজিতার সন্দেহের তালিকায়, এছাড়াও রয়েছেন ব্রজমোহন চক্রবর্তীর মর্নিং ওয়ার্কের কিছু সঙ্গী এবং সঙ্গীনি। বাদ পড়েনি সরলাদেবীর মানসিক রোগীর ডাক্তার মেঘমালা বন্দ্যোপাধ্যায়ও....... । কিন্তু আসল খুনি কে ? কেন সে একটা নয়, তিন তিনটে খুন করলো ? আর দু'জন কারা, জানার জন্য আপনাকে পড়তেই হবে অর্পিতা সরকারের নতুন উপন্যাস 'সেই ডাইরি'টা'।
খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি গিঁট ছাড়ানোর সাথে সাথে আপনিও সাক্ষী থাকতে পারবেন ডাক্তারের সাথে ইন্সপেক্টরের প্রেমের মুহুর্তগুলোর। ভালোবাসায় হাংলা ডাক্তার কৌশিককে আপনিও নিঃসন্দেহে লগ্নজিতার মতো নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলবেন। তাই আর দেরি কেন, তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন আর লগ্নজিতার সাথে শনাক্ত করুন ব্রজমোহন চক্রবর্তী'র খুনি'কে আর তার মোটিফ কি ?
ধন্যবাদ