নাম - এক আশ্চর্য ফেরিওয়ালা
লেখক - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
শ্যাডো নামক এক যুবকের বাবার ব্রেন টিউমার ধরা পরে। তার অপারেশনের জন্য ৫ লাখ টাকার দরকার। এই সময় শ্যাডো র সঙ্গে কয়েকজন লোক দেখা করে জানায় তারা টাকা দিতে রাজি কিন্তু বিনিময়ে তাকে একজনকে খুন করতে হবে। শ্যাডো উপায়ান্তর না দেখে ওদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। এদিকে এক অচেনা অদ্ভুত ফেরিওয়ালা এসে ফিজিক্স নিয়ে রিসার্চ করা গজপতিবাবুকে অদ্ভুত জিনিস দিয়ে যাচ্ছে। এমন হুইসেল দিয়েছে, যা দিয়ে শব্দের বদলে গন্ধ বের হয়, যে গন্ধে মশা মাছি থাকে না। এমন টর্চ দিয়েছে যাতে আলো বেরোয় না কিন্তু কুয়াশার দিকে তাক করে জ্বালালে কুয়াশা কেটে যায়। গজপতি বাবু এ রহস্যের কিনারা করতে বদ্ধ পরিকর, কিন্তু বাড়িতে তার স্ত্রী সুচরিতা দেবী ভাবেন তার মাথার দোষ হয়েছে। এদিকে ধূর্ত চাকর গোপাল সর্বদাই তার থেকে ছলে-বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। ফলে একমাত্র রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার সুরেশবাবু ছাড়া আর কারুর সাথেই তিনি এই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না।
শ্যাডো কি পারবে মিশন কমপ্লিট করে বাবার অপারেশনের জন্য টাকা জোগাড় করতে? গজপতি বাবু কি বন্ধু সুরেশের সাহায্যে এই অদ্ভুত জিনিশগুলির রহস্য সমাধান করতে পারবেন? কে এই আশ্চর্য ফেরিওয়ালা? এই অদ্ভুত জিনিসগুলি কেনই বা সে গজপতিবাবুকে দিয়ে যায়? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে অবশ্যই এবছরের পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলায় প্রকাশিত শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা "এক আশ্চর্য ফেরিওয়ালা" পড়ে দেখতে হবে।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের গল্পগুলোর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই গল্পটি লেখা। গল্পের শেষে একটা টুইস্ট আছে, সেটা আর এখানে লিখলাম না। আমার তো বেশ ভালোই লেগেছে। আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।
ধন্যবাদ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।