অর্ক সমগ্র প্রথম খণ্ড
পল্লব হালদার
লেখক প্রসঙ্গ:- ডক্টর অর্ক সেনের সঙ্গে আমার পরিচয়টা একটু অন্যরকমভাবে হয়েছিল সানডে সাসপেন্সের দৌলতে। শোনার পর থেকেই আমার প্রিয় হয়ে ওঠে। পল্লব হালদারের লেখার অনুরাগী হয়ে উঠি। লেখক নাইজেরিয়ার লাগোস শহরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে আমিও লাগোস শহরের বাসিন্দা এবং বঙ্গীয় পরিষদের দাক্ষিনে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ওনাকে চিনি।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি চরিত্র আমাদের মধ্যে আনার জন্য এবং সেটিকে একটি পুরো নতুন প্রকাশনার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। আমি সাইকোলজিকাল বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা খুব পছন্দ করি । তাই যবে থেকে এই বইটা বেরোনোর কথা তখন থেকেই অপেক্ষা করছিলাম।
ডঃ অর্ক সেন। আশেপাশে দেখতে পাওয়া আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতই একজন তিনি। তবে তার আসল পরিচয়, লেগোসের (নাইজেরিয়া) নামজাদা এক মনোচিকিৎসক তিনি। কথার ছলেই পৌঁছে যান সামনে বসা মানুষের মনের মাঝে। বের করে আনেন আসলটাকে। আপাতদৃষ্টিতে অলৌকিক মনে হওয়া ঘটনার প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে বের করেন। আর এসবে প্রায়শই তাঁর পাশে থাকেন বন্ধুসম তুহিন, যার কলমের আঁচড়ে লেখা হতে থাকে সে সব ঘটনা।
বইটিতে ছটি গল্প রয়েছে।
১. ভয়
২. ইল্যুশন
৩. মনোমোহিনী
৪. অভিশপ্ত ব্রেসলেট
৫. সমান্তরাল
৬. ওসানিন।
কোন গল্প আলোর কোন গল্প অন্ধকারের। গল্প গুলো অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরিয়ে আনার, কিংবা অন্ধকারের থেকে চিরমুক্তি সবই আছে। আলোছায়ার ক্রীড়াঙ্গন প্রতিটি গল্প।
বইটির প্রতিটি গল্পেই উপস্থিত কিছু না কিছু অলৌকিকতা। সবকটি গল্প অবশ্য সমান আকর্ষণীয় লাগেনি আমার। তবে কয়েকটি দারুন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে প্রথম ও শেষ গল্পদুটি ('ভয়' ও 'ওসানিন')। 'সমান্তরাল' গল্পটি পড়তে পড়তে আবার এতটাই জটিলতার মধ্যে ঢুকে যেতে হল, আর একটু হলে একদফা ফিজাক্স বই পড়ে নেওয়ার দরকার পড়ছিল। তবে সব মিলিয়ে বেশ অন্যরকম একটি বই। বেশ একটা ভয় ভয় ব্যাপারও আছে, রহস্য উদঘাটনও আছে। আর সেটাই আবার মনের অতলে ডুবে সমাধানের খোঁজ নিয়ে আসার মাধ্যমে ঘটা।
বইটির প্রচ্ছদ দারুন, একথা বলব না। তবে বই জুড়ে দারুন কিছু অলংকরণ আছে।
ব্যাক্তিগত ভাবে লেখককে জানার সুবাদে এটা জানি যে ডাক্তার অর্ক র পরবর্তী সংকলন আগামী বইমেলায় প্রকাশ পাবে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।