বইয়ের নাম _ "কবিরাজ"
লেখক_ অভীক মুখোপাধ্যায়
পাবলিকেশন _ বেঙ্গল ট্রয়কা পাবলিকেশন
প্রথম প্রকাশ _ পয়লা বৈশাখ,১৪২৮
মূল্য_১৩৫ টাকা
বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা _৬২
জনরা_ ভৌতিক, রোমান্টিক , রহস্য কাহিনী
অভীক মুখোপাধ্যায় ঐতিহাসিক বিষয় বস্তু নিয়ে লেখা লেখি করেন। কিন্তু তিনি যে ভৌতিক রোমান্টিক রহস্য গল্প উপন্যাস লিখতে সিদ্ধহস্ত সেটা কবিরাজ পাঠ করে এক কথায় স্বীকার করে নিলাম।বইটা পড়া শুরু করলে শেষ না করে কোনো উপায় নেই যেমন টানটান এর বিষয়বস্তু। তেমন সুন্দর এর কাহিনী। বইটা ইতিহাস এর আশ্রয় নিয়ে দুরন্ত একটা করুন ভূতের উপন্যাস।
বইটা সেই সময়ের সমাজ ও তখনকার দুই ধর্মের দৃষ্টি ভঙ্গি লেখক তুলে ধরেছেন।পাঠক হিসেবে আমার লেখকের সেই সময় এর যে চিত্র লেখক তুলে ধরেছেন সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
তাই বইটা পড়ে নিয়ে চলে এলাম আমার রিভিউ। এটা রিভিউ কম বইটা পড়ে আমার যেটা উপলব্ধি বা মতামত বলছি।
এইবার সংক্ষেপে উপন্যাস টির বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করবো। গল্পের নায়ক একজন বেকার যুবক। নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি উপর নির্ভর করে নিজের জীবন যাত্রা চালায়। মাঝে কিছুদিন টিউশান দিয়েছেন কিন্তু টাকা পয়সা ঠিক মতো না পাওয়ার ফলে সেটা ছাড়তে বাধ্য হয়। তারপর তার বন্ধু বাপন এর মারফতে ১৫ হাজার টাকা বিনিময়ে দিল্লি টে একটা সাজানো ইন্টারভিউ এর আড়ালে সবাইকে বাতিল করে একটা চাকরি জোগাড় করে ফেলে।
ও সেই চাকরি সূত্রে একটা বাড়িতে থাকার ব্যাবস্থায় সেই বাড়িতে উঠলে সেইখান থেকে শুরু হয় গল্পের সূত্রপাত।সেইদিন রাত ১১ টার সময় সেইখানে উপস্থিত হলে সেইখানে পরিচয় হয় দুইজন অল্প বয়সী প্রেমিক যুগল এর সাথে।
যাদের মধ্যে প্রথম জন একজন ব্রাহ্মণ হিন্দু সন্তান পণ্ডিত জি ( জয়নারায়ান চতুরবেদী) ও তার স্ত্রী মুসলিম পাঠান হুন্স বানো (নাসিম বানো) তাদের কথা জানতে পেরে তাদের সাথে তাদের অতীত জীবনের কাহিনী জানতে চাইলে। তারা বলে তার যদি সময় হাতে থাকলে তারা বলতে রাজি। কাহিনী নায়ক শুনতে রাজি হলে তারা শুরু করেন তাদের গল্প।
গল্পের মোট ৪ জন প্রধান চরিত্র। উপরে তিনজনের নাম বলেছি আর একজন প্রধান চরিত্র হলো নবাব লিয়াকত আলী জংজং। যেহেতু এটা একটা ভৌতিক রোমান্টিক রহস্য কাহিনী ও একটি ছোটো উপন্যাস তাই কাহিনীর বিষয় বস্তু নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করলাম।বেশি বললে স্পয়লার দেওয়া হবে।
তাদের প্রেম। তাদের একে অপরকে হারানোর কষ্ট। ও মৃত্যুর পর একে অপরকে অপরিসীম ভালোবাসার কাহিনী এটা। ও নিজেদের অধিকার ও নিজেদের সম্পত্তি রক্ষার তাগিদে শতাব্দী অব্দি অপেক্ষা করার কাহিনী।
তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ রইলো আপনারা অভীক মুখোপাধ্যায় এর লেখা "কবিরাজ" বইটি পড়ুন।
আশা করছি আমার মতো আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
রেটিং _ গল্পটির পাতায় পাতায় যে যে পরিমাণে ভালোবাসা। সেই বিগত দিনের পটভূমিকায় রহস্য ও ভৌতিক বিবরণ দিয়ে লেখক বইটা লিখেছেন। বইটা পড়া শুরু করলে শেষ না করে কোনো উপায় নেই। তাই আমার রেটিং ১০ এর মধ্যে পারফেক্ট ১০
রিভিউটি লিখেছেনঃ Bapan Da
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।