তামাঙ
প্রমোদ নাথ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলার চা বাগিচা অঞ্চল, কৃষি অঞ্চল এবং বনবসতি অঞ্চল-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগিচা অঞ্চলে তামাঙ জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সিকিম, অসম, পূর্ব ভুটান এবং নেপালের বিভিন্ন এলাকায়ও এরা বাস করে। পশ্চিমবঙ্গের ৪০টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসাবে তামাঙ অন্যতম। যদিও এরা নিজস্বতা বজায় রেখেছে। সামাজিক বিষয়, ধর্মীয় বিষয় এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ে এই সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য বিশেষত্ব অবশ্যই নজরে পড়ে। লোকসংস্কৃতির দৃষ্টিতেও তামাঙ জনজাতির একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। তামাঙ সম্প্রদায় মঙ্গোলীয় বিভাগের চৈনিক ভোট বংশের অন্তর্গত ভোট-বর্মী ভাষা পরিবারের সদস্য বলে গবেষকরা মনে করেন। নেপালের সমস্ত রাজাদের উত্থানের সময়েই তামাঙরা নিজ দেশে পরবাসী হয়। পরবর্তীতে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ডুয়ার্স-তরাইয়ের এই অঞ্চলে চা বাগিচা পত্তনের প্রথম পর্বেই চা বাগানের কাজের প্রয়োজনে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাথে তামাঙ সম্প্রদায়ের মানুষদেরও এই অঞ্চলে আগমন ঘটে। নিজ বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে চা-বাগানের কুলি-মজুর হিসেবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা তাদের নিজস্ব সমাজ-সংগঠন, ধর্ম, সাংস্কৃতিক চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমানেও।
প্রচারের অন্তরালে থাকা পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া এই আদিবাসী জনগোষ্ঠী সকলের দৃষ্টির অগোচরেই রয়ে গেছে। কোথাও তাদের নিয়ে সে ভাবে আলোচনা হয়নি। লেখক দীর্ঘদিন ধরে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘুরে-তদের প্রত্যক্ষ করে—তাদের কাছ থেকেই সংগৃহীত করেছেন নানা তথ্য। তাদের ভাষা, ধর্ম, সমাজ-সংগঠন, শিক্ষা, জন্মসংস্কার, বিবাহ, শবদাহ, শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান – নানাবিধ সমস্যা
তামাঙকে জানতে বইটি পড়তে পারেন।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Collected
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।