বই - ভৈরব
লেখিকা - দীপাঞ্জনা দাস
কালবিহঙ্গ এর পর ভৈরব ওঝাকে নিয়ে লেখিকার দ্বিতীয় গল্প এটি। আগের গল্পে ভৈরবের পূর্বজীবন ও গুরু ভালনেত্রের মার্গদর্শনে সংসার ছেড়ে সন্ন্যাস জীবনে প্রবেশের কথা জানা যায়। তবে ভালনেত্র কে? কেনই বা তিনি ভোলানাথ এর কাছে এলেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। এবার পাওয়া যাবে তার উত্তর এবং ভৈরবের সাথে তার সম্পর্কের কথা।
বইটিতে দুটি গল্প রয়েছে - ১. খন্ডগ্রাস, ২. অরক্ষণীয়া
খন্ডগ্রাস গল্পটি মূলত ভোলানাথ এর ভৈরব ওঝা তে পুনর্জন্ম হওয়ার কাহিনী এবং সেই সাথে তার গুরুর পরিচয়ের কাহিনী।
অরক্ষণীয়া গল্পটিতে লেখিকা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের লাঞ্ছনার অন্ধকার দিকটি তুলে ধরেছেন ও সেই সাথে রয়েছে ভৈরবের পরিত্রাতা হয়ে ওঠার গল্প।
বলে রাখা দরকার যে ভোলানাথ বা আজকের ভৈরব আসলে কে তা জানার জন্য কালবিহঙ্গ অবশ্যই পড়তে হবে। গল্পটি তন্ত্রনির্ভর হলেও চড়া দাগের তন্ত্রের বর্ণনা নেই, তাতে অবশ্য গল্পের গুনমান এতটুকুও ক্ষুণ্ণ হয়নি। লেখিকার লেখনীক্ষমতা ভৈরব চরিত্রটিকে অন্যান্য তন্ত্রনির্ভর গল্পের তান্ত্রিকদের থেকে স্বতন্ত্রতা দিয়েছে। মূল আকর্ষন হল ভৈরবের চরিত্র নির্মাণ যা তাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয়। দ্বিতীয় গল্পের ক্লাইম্যাক্স এ ভৈরব এর ক্ষমতাকে কখনোই অতিমানবীয় মনে হয় না বরং অলৌকিকতার সাথে মানবতা ও ভালোবাসার এক দারুন মেলবন্ধন দেখা যায়। অরক্ষণীয়া গল্পটি পাঠকমনে শিহরণ জাগিয়ে তুলতে পারে। মোটের ওপর ভালোই লেগেছে পড়তে। ভৈরব যেন আবার ফিরে আসে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Shuva
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।