বইয়ের নাম : ভাসানবাড়ি
লেখক : সায়ক আমান
প্রকাশনী : বিভা পাবলিকেশন
রোজকার ব্যস্ত জীবনে গল্পের বই পড়ার সময় খুব একটা হয়ে ওঠে না। রোজ একটু একটু করে পড়তে পড়তে অবশেষে শেষ করলাম এই গল্পের বইটা। সায়ক আমান - একটি জনপ্রিয় নাম। আমি মিডনাইট হরর স্টেশন এর নিয়মিত শ্রোতা। ওনার লেখা অনেক গল্প শুনেছি কিন্তু এই প্রথম ওনার লেখা আমি পড়লাম।
গল্পের প্রধান দুই চরিত্র - হৈমন্তী এবং অশ্বিনী। হৈমন্তীর ভাসানবাড়িতে যাওয়ার পর একের পর এক রহস্যময় ঘটনা ঘটেছিলো।অশ্বিনী এক রহস্যময় চরিত্র। গল্পের শুরুতে বেশ ভালোই লাগছিলো।মাঝে একটু ঘেটে গেলাম - বিশেষ করে সায়েন্টিফিক ব্যাপার গুলো পড়ে (এতে লেখকের বা লেখার কোনো ত্রুটি নেই - আমার মাথা মোটা তাই বুঝতে পারিনি)। শেষে হৈম এর জন্য কষ্ট হচ্ছিলো। মনটা খারাপ হয়ে গেলো শেষটা পড়ে। তবে বেশ কিছু রহস্যের কিনারা হলো না। যাইহোক বইটি পড়তে ভালোই লাগলো। আপনারা যারা বইটি পড়েন নি তারা পড়েদেখতে পারেন।আশাকরি খারাপ লাগবে না।
রেটিং : কারুকে রেটিং দেওয়ার মতো যোগ্যতা আমার নেই।তাই কোনো রেটিং দিলাম না।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Koushik
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
বইয়ের নাম _ ভাসানবাড়ি
লেখক_সায়ক আমান
পাবলিকেশন _ বিভা পাবলিকেশন
প্রথম প্রকাশ _ জানুয়ারি ২০২০
মূল্য_২৪৪ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা _২২৪
জনরা_ রোমান্টিক থ্রিলার
কিছু কিছু বই আছে যে বই আপনি পাঠ করার পর সেই বইটির রেশ আপনার মধ্যে থেকে যায়।
আপনি সেই বইটির চরিত্র গুলোর সাথে বাস্তব জীবনের মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবেন।এটা তেমন একটা বই যে বইটা পড়ার পর আপনি সাময়িক ভাবে কষ্ট পেতে পারেন। সায়ক আমান একজন বলিষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম। আমি যেসব লেখকদের লেখা পড়ার জন্য অধীর ভাবে অপেক্ষায় থাকি তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার প্রতিটা লেখা মধ্যে একটা জাদু আছে। এই লেখাটি তার ব্যাতিক্রম না
আর উপন্যাস টি শেষ করার পর আর রিভিউ না দিয়ে পারলাম না তাই একটা রিভিউ নিয়ে চলে এলাম।
"তোমারেই যেন ভালোবসিয়াছি,
শত রূপে শত বার...
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনির্বার।"
এই একটি লাইন যেনো বইটা ব্যাখ্যা করছে।
আরো একটা লাইন আছে
"চলে গেছো হৈম"?
কিছু কিছু বই আপনাকে প্রচুর কষ্ট দিতে পারে।যদি আপনি সেই কষ্ট টা ফিল করতে পারেন। উপরের যেই লাইন টা বললাম। উপন্যাস টি শেষ হলে এই লাইন অব্দি যখন পৌঁছাবেন ততক্ষন এই উপন্যাস টি আপনার পড়া হয়ে গেছে। আর তখন আপনি জানতে পারবেন যে ভালবাসায় যে কষ্ট থাকে অপেক্ষা থাকে সেটা জীবনের কই জন মানুষ করতে পারে।
এই বার গল্পের বিষয় বস্তু নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো। কারণ আমি চাইবো প্রতিটা পাঠক এর প্রতিটা শব্দ প্রতিটা লাইন মন দিয়ে পড়ুক। এই গল্পের প্রধান চরিত্র দুটি হলো হৈমন্তী ঘোষ আর অশ্বিনী।
বিরাজপুর নামে পরিত্যক্ত একটা ২০০ বছরের রহস্যময় বাড়িতে উপস্থিত হয় হেরিটেজ সোসাইটি থেকে বাড়িটার ইতিহাস আর ভূগোল নিয়ে গবেষণা করার জন্য। সেইখানে তার সাথে আলাপ হয় বাড়ির কেয়ারটেকার অশ্বিনী সাথে। শুধু যে বাড়িটার বেপারে জানা না বাড়িটার সব রহস্য উদ্ধার করতে চায় হৈম। সে উপলব্ধি করে কোনো কারণে এই বাড়িতে সময় অদ্ভুত ভাবে থেমে রয়েছে। বইটিতে একদিকে আপনারা রহস্য উপন্যাস এর ফিল পাবেন।
তেমন পাবেন দুর্দান্ত একটা প্রেমের উপন্যাস। হৈম আর অশ্বিনী প্রেম এর পাশাপাশি তাদের অতীত লেখক দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। চিরন্তন প্রেমের উপন্যাস হিসাবে বইটা আপনি আপনার উইশ লিস্ট এ রাখতে পারবেন। হৈম যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিরাজপুর এ আসে ও আসতে আসতে যখন কাহিনী এগিয়ে চলে তখন বইটির চমক আপনাকে আশ্চর্য করবে। সাথে আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে। এই বইটির অপর চরিত্র অশ্বিনী কে নিয়ে বেশি আলোচনা করলাম না। করলে স্পয়লার দেওয়া হবে। শুধু এটা বলতে পারি। অপেক্ষা অনন্তকাল অপেক্ষা করে সে আর শেষে ...... ?
এই বইটা কারো কারো একদম ভালো না লাগতে পারে। আবার কারো মনে হতে পারে এটাই তার পড়া শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস। তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ রইলো আপনার অতি অবশ্যই এই উপন্যাসটি পড়ে দেখবেন আমি আপনাদের বলছি পাঠক হিসেবে এতো ভালো বই থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।
রেটিং _ গল্পের পাতায় পাতায় লেখক আপনাদের ভাবতে বাধ্য করবে। ও গল্পের প্রতি অধ্যায় এ ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন। সত্যি বলতে কি এইই গল্পের কোনো রেটিং হয় না। শুধু গল্পের শেষে এ আপনাদের মন খারাপ হতে বাধ্য। ওহ শেষে বলি ভালবাসার মানুষ কে জীবন থেকে হারিয়ে যেতে দিতে নেই। আর হারিয়ে ফেলার যে কষ্ট সেটা অশ্বিনী মনে হয় সব চেয়ে ভালো জানে।
আমার রেটিং পারফেক্ট ১০ এর মধ্যে ১০ অবাক হবেন না গল্পটি পড়লে আমার সাথে আপনারা সহমত পোষণ করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই উপন্যাসটি আপনাকে প্রচুর কষ্ট দিতে পারে। তাই বইটা পড়ার পর আপনার কিছুদিনের জন্য অন্য বই পড়তে ইচ্ছা হারিয়ে যেতে পারে।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Bapan Da
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।