বই - ধূমাবতীর মন্দির
লেখক - মনীষ মুখোপাধ্যায়
গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যার আলো ফুরোতে সেদিন আর খুব বেশি সময় বাকি নেই, গোধুলির সময় মাঠের থেকে ফুটবল খেলে ফিরছিল বছর তেরোর মহেশ। নদী পারের জংলা জায়গাটায় এসে কেমন যেন একটা অস্বস্তি হল মহেশের। হাওয়ার চলাচলটাও যেন এই জায়গাটায় এসে গুম মেরে গেছে। মহেশ তাকিয়ে দেখল রাস্তার বাঁপাশে ঝোপের কাছে কেমন যেন বেমানান ভাবে বসে আছে বিরাট আকারের একজোড়া দাঁড়কাক। মহেশ এগিয়ে গেল ঝোপটার দিকে,মহেশকে এগিয়ে আসতে দেখে কাক দুটো খানিকটা সরে গেল। এতক্ষণ কাকগুলোর দিকে মনোযোগ থাকায় ভালো করে দেখতে পায়নি, সামনের ঝোপটার আড়লে দেখা যাচ্ছে একটা ছোট গম্বুজের মত। এদিক ওদিক দেখতেই আরেকটা আশ্চর্য জিনিস চোখে পড়লো, দেখেই মহেশের বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো কতগুলো পোড়া শোল মাছ গম্বুজটার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কেউ যেন তাঁর কানে ফিসফিস করে বলছে যা, আরও এগিয়ে যা....
কলকাতার সাউ পরিবারের একটি পারিবারিক অভিশাপ রয়েছে। শেষ বয়সে এসে সকলে একটি কথায় বলে "রজনীগন্ধার গন্ধ পাচ্ছ?" শ্রী শ্রীলার কাছে দাদা কুমারেশের বলা এই একই কথা শুনে আঁতকে ওঠেন মহীতোশ কারণ সে জানে, কেবল যে শেষ বয়সে এসে তা নয় এই পাগলামী দেখা দেয় মৃত্যুর আগে। শ্রীলার মেয়ে অনন্যার আঁকা দেখে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুমারেশ এমনকি আশ্রমের গুরুদেব পর্যন্ত আতকে উঠলেন ছবিটি দেখে। কার ছিল সেই ছবি?
আশ্রমের গুরুদেব জানান সাউ পরিবারের এই অজানা অভিশাপ থেকে তাদের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবে এমন একজন যার কোনও মোহমায়া নেই, যে হবে প্রকৃতই ত্যাগী আর বীরজা হোমের দ্বারা যে নিজের কুল বংশ পর্যন্ত ত্যাগ করেছে। এমন একজন শিষ্যর কথা তার জানা যে অল্প বয়সেই মোহমায়া ত্যাগ করেছে। শঙ্খশুভ্র যেন সাউ পরিবারের এক আশার আলো হয়ে আসে।
রামচরণ মুখুটির বলা পুথিঁ তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করেছেন পরেশ ভট্টাচার্য। এই পুথিঁই নাকি তার একমাত্র সন্তান মহেশ কে বাঁচাতে পারবে এই বিপদ থেকে। অতীতে কোন উদ্দেশ্যে জাগানো হয়েছিল দেবী ধূমাবতীকে? শঙ্খশূভ্র কী পারবে দেবীকে শান্ত করে সাউ পরিবার কে রক্ষা করতে?
রিভিউটি লিখেছেনঃ Rupa
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।