কুয়াশার ফুল
সায়ক আমান
"আমরা যা দেখি তা কি সবসময় সত্যি হয়? আমাদের বেঁচে থাকা নাকি আমাদের ভালোবাসা কোন টা অলৌকিক সায়ন বাবু? জীবন হল জন্ম ও মৃত্যু র মাঝে কিছু না ভুলতে চাওয়া গল্প মাত্র।" দুর্দান্ত একটি রোমান্টিক রহস্য উপন্যাস।ভালোবাসা শুধু এখানে নায়ক ও নায়িকা র মধ্যে নয়, ভালোবাসা এক জন্মদাত্রী মা এর সাথে সন্তানের, ভালোবাসা একটি মেয়ের সাথে প্রকৃতির। ভালোবাসা অনন্ত কাল এর যার কোনো অন্ত নেই।
রহস্য পুরো জিগশ পাজল এর মতো ছিল যার সকল টুকরো আপনি শুরু থেকে হাতরাবেন,একদম শেষেই মেলাতে পারবেন, প্রতি পদে পদে টুইস্ট দুরন্ত ভাবে এগিয়েছে আর এই দুরন্ত রহস্যর মাঝে ভালোবাসা এসেছে তীব্র গরম দাবদাহে এক মুঠো শান্তির আশ্রয়স্থলের রূপ ধরে। রহস্যর জায়গা যতবার ছোঁবেন ততবার শুনতে পাবেন আপনার হৃদয়ের ধ্বনি আর ভালোবাসায় প্রবেশ এর সাথে সাথে আপনাকে সে অবশ করে দেবে।আপনার হাতে রেখে যাবে একটি নীল ফুল।
আপনি চাইবেন এ মুহূর্ত স্তব্ধ যদি হতে পারতো! কি অসাধারণ ম্যাজিক করার ক্ষমতা লেখকের, নায়ক নায়িকার মধ্যে স্পর্শ না করে শুধু তাকিয়ে ভালোবাসার এক মূর্ত বিষ্ময়কর মুহুর্তের সাক্ষী থাকবেন আপনি। এবার আমি গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে একটুও কিছু না বলে শুধু মনের অনুভূতি তুলে ধরলাম। বই শেষ এর পর ভালোলাগা মিশ্রিত একটা মন খারাপ মনের মধ্যে ধরা দেবে। আপনার চারিদিকে অন্ধকারে একটা নীল আলো আপনাকে ঘিরে থাকবে। একজন মা তার সন্তান কে বাঁচাতে,তার মঙ্গলে শেষ পর্যন্ত কত দূর যেতে পারেন? চিরকাল ধরে ধর্ম, গোঁড়ামির অন্ধকারে কিছু মানুষ নিভিয়ে দিয়ে এসেছে যে সকল নিরপরাধ, নির্দোষী দের,তাদের সম্মিলিত প্রতিশোধের এক জ্বলন্ত কাহিনী।
আমি চাই আপনারা সবাই পড়ুন বইটি। নিঃসন্দেহে "ভাসান বাড়ি" র যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এসে পড়ল তবে?
রিভিউটি লিখেছেনঃ Riya
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
বইয়ের নাম - কুয়াশার ফুল
লেখক - সায়ক আমন
ছোট একটি জনপদ যেখানে কিছুদিন অন্তর অন্তর ঘটে যায় কিছু অদ্ভুত ঘটনা, চুরি হয়ে যায় কিছু বাচ্চা,গ্রামের মানুষের সন্দেহ গঙ্গা নামের এক মধ্যবয়সী মহিলা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত,সে নাকি ডাইনি। আবার সেই গ্রামের কিছু খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সে সাক্ষাৎ ধন্যন্তরি, সেই গ্রামেরই এক প্রভাবশালী দিলু জেঠুর আমন্ত্রণে সেই গ্রামে এসে পড়ে সায়ন, ছোট বেলা থেকে ডাইনির গল্পঃ পরে বড় হয়েছে সে।
গল্পের পরতে পরতে রহস্যের জট। এর ই মধ্যে সায়ন ও মৌলির প্রেম, কে এই মৌলী, কি তার পরিচয়?? গল্পের শেষ পর্যন্ত না পড়লে জানা যায় না গঙ্গা কি সত্যি ডাইনি, কেনো বা শুধু সেই বাচ্চা চুরি হয় যার বাবা মায়ের কোনো যোগ্যতাই নেই সন্তান পালন করার, শেষ পর্যন্ত গঙ্গার কি পরিনতি হয় তা জানার জন্য শেষ অবধি এক নিশ্বাসে পরে ফেলা যায় এই বই। রোমান্স আর রক্তের এই মেলবন্ধন বেশ প্রশংসা যোগ্য।
সবশেষ বলা যায় এই রোমাঞ্চকর প্রেমের উপন্যাস টি সবার জন্যে অবশ্যপাঠ্য।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
উপন্যাসের - কুয়াশার ফুল
লেখক - সায়ক আমান
মুদ্রিত মূল্য - ₹৩২৫
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ২০৭
প্রথম প্রকাশ - বইমেলা, ২০২৩
প্রকাশক - Patra Bharati
রিভিউ লিখেছেন - শুভজিৎ -এর কলমে
মতিপুরে একটার পর একটা চুরি হচ্ছে। না কোনো সম্পত্তি নয় বরং শিশু। সাধারণের ধারণা এটা একাকী থাকা গঙ্গা নামের এক ডাইনির উপদ্রব। আবার অন্যদিকে এই গঙ্গারই গ্রামে বেশ নামডাক আছে বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। সায়নের বাবার বন্ধু জননেতা দিলু জ্যেঠু, ল পাশ ছেলে সায়ন'কে সেই কথা জানায়। কারণ সায়নও ছোটো থেকেই ডাইনির গল্প শুনতে ও পড়তে ভালোবাসে। শেষমেশ সায়ন দিলু জ্যাঠার অনুরোধে মতিপুরে এসে পৌঁছায়। তার কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামের বাচ্চা চুরির সাথে সাথে বাচ্চার বাবা - মা'দের খুন হতে থাকে। আরও ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এদিকে সায়ন, মৌলির প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গোপনে দেখা করে। মৌলি সায়ন'কে প্রতিদিন একটা করে নীলচে ফুল দেয়।
শিশু চুরি ও খুনের ঘটনায় উপন্যাসে সংযোজন ঘটে ইনস্পেক্টর গাঙ্গুলী ও তার সহকারী সঞ্জয়ের। আর সেই সঙ্গে দুজন রির্পোটারের।
কিন্তু উপন্যাসের শেষ না করা পর্যন্ত আপনি একটা করে গিঁট খুলবেন তো অন্য একটা গিঁটে আটকে থাকবেন। অর্থাৎ পুরো টানটান উত্তেজনা। একদিকে রোম্যান্স আর অন্যদিকে আপনি একটা আনকোরা অনুভূতির সম্মুখীন হবেন এটুকু নিশ্চিন্তে বলতে পারি আর যে কথা গুলো বলব না সেগুলো হলো, সেসব শিশু গুলো চুরি হচ্ছিল তাদের শেষ পরিণতি কি হয় ? মৌলি আসলে কে ? এসবের পিছনে কারণ কি ছিল ?
আসলে পুরো উপন্যাসে সায়ক'দা রোম্যান্স আর রক্তের সাথে সাথে যেভাবে ভয়াবহ ভৌগোলিক পরিবেশ সৃষ্টি করে তা সত্যিই আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় যেটা সেটা হল 'সায়ক'দা ভূমিকা লেখার কৌশল'। জাস্ট মনমুগ্ধকর।
আর বেশি কিছু বলব না, আমার মনে হয় এই আশ্চর্য প্রেমের রোমাঞ্চকর উপন্যাসটি আপনাকেও পড়ে দেখা উচিত। পড়তে থাকুন, আতঙ্কে থাকুন। ধন্যবাদ।