উপন্যাসের নাম- ময়নামতির নথ
লেখক- হিমাদ্রিকিশোর দাসগুপ্ত
কাহিনী সংক্ষেপ
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের উপন্যাস ময়নামতির নথ
ফরাস ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন ময়নাগড়ের বাহুবলেন্দ্র। নিজের গলা থেকে মুক্তমালাটা খুলে তিনি তা বাড়িয়ে দিলেন নর্তকির দিকে। মুক্তমালাটা গ্রহণ করে সেটা কপালে ঠেকিয়ে প্রণাম জানিয়ে বাহবলেন্দ্র কী আজ্ঞা করেন তা শোনার প্রত্যাশায় মাথা নিচু করে দাঁড়াল নর্তকি। না, বাহুবলেন্দ্র তাকে কোনো আজ্ঞা করলেন না। তিনি প্রথমে তার উদ্দেশে বললেন, 'তোমাকে কী নামে ডাকা যায় বলো তো? চম্পা তো বালেশ্বরের রাজার দেয়া নাম। আর দেবী রাজলক্ষ্মীর বিগ্রহ আছে ময়নাগড়ে। নিত্য পূজা পান তিনি। কাজেই এ দুই নামের কোনো নামেই ডাকা যাবে না তোমাকে।'
এ কথা বলার পর একটু ভেবে নিয়ে ময়নাগড়ের জমিদার রাধেশ্যামানন্দ বললেন, 'আমি তোমার নাম দিলাম ময়নামতি। তুমি যতদিন ময়নাগড়ে থাকবে ততদিন সবাই তোমাকে ময়নাবাই নামে ডাকবে।'
Review
এই লেখকের লেখা পড়তে কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। ঝরঝরে লেখা একদম। এই উপন্যাসটিও বেশ ভালো লেগেছে।
ময়নাগড়ের বর্তমান ভূস্বামী রাধেশ্যামানন্দ বাহুবলেন্দ্র তার একমাত্র রানী আনন্দময়ীকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন। ময়নাগড়ের চারিদিক ঘিরে আছে তিনটে সুগভীর কুমির দিয়ে সুরক্ষিত পরিখা। এই বাহুবলেন্দ্র বংশের একটি মূল নিয়ম হল যে, বাড়ির মেয়ে-বৌদের অন্দরমহল ব্যতীত মুক্ত বাতাস নেওয়ার অধিকার নেই। একটা ছোট্ট জাফরির জানলা দিয়েই বাইরের পরিবেশ দেখতে হয়। আর বিধবাদের অবস্থা আরও করুন। ইতিমধ্যে ময়নাগড়ে এসে উপস্থিত হয় বালেশ্বরের নামী সঙ্গীতশিল্পী রাজলক্ষ্মী বাই বা চম্পা বাই। ভূস্বামী তার গান শুনে তাকে নতুন নামে অর্থাৎ ময়নামতি বা ময়নাবাই নামে ভূষিত করেন এবং একটি যোগ্য উপহার দেওয়ার কথা বলে বসেন। এদিকে রানী আনন্দময়ীকেও একটি উপহার দেওয়ার কথা ছিল।
কে কি উপহার কিভাবে পেল তা দিয়ে উপন্যাসটি শেষ হয়।
রেটিং দেব ৯/১০। বানান ভুল সেভাবে খুঁজে পাইনি।
রিভিউটি লিখেছেনঃ
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।