ত্রিভুজ
সাথী দাস
আমার সারা জীবনের পড়া বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। হ্যাঁ,সমস্ত ক্লাসিকস, সমসাময়িক সব উপন্যাস কে মিলিয়ে ই কথা টা বললাম। ৭৫৪ পাতা, বহু দিন ধরে একটু একটু করে পড়েছি, আজ তার চির পরিসমাপ্তি। আমার পাঠক সত্বা পরিপূর্ণ।
ত্রিভুজ এর অন্তর্দহনে প্রতি দিন জ্বলেছি, আটকে রাখতে পারিনি আমি নিজেকে। দিন এর পর দিন একটি বিশেষ চরিত্র পুড়িয়ে দিয়েছে হৃদয় রোজ বার বার শত বার সহস্র বার। জীবনের নানা প্রান্তে অসংখ্য ত্রিভুজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, পড়তে পড়তে আমি ও উপন্যাস এর ত্রিভুজ এর অব্যক্ত অংশ হয়ে গেলাম। উপন্যাস তো শেষ হয়ে গেছে আমার টা ওরা কেউ জানতে পারবে না। আমার শরীর অবশ হয়ে গেছে। জানিনা আবার কবে এই কঠোর সত্য ভুলে স্বাভাবিক হবো, লেখিকার ৭৫৪ পাতায় আমি সাত লক্ষ বার নিজেকে সমর্পণ করে ফেলেছি এক চরিত্রে র কাছে।
আমার কাছে আমার পড়া সকল চরিত্রে র মধ্যে শ্রেষ্ঠ চরিত্র হয়ে আজীবন আমার মধ্যে রয়ে যাবে ঋক ওরফে প্রান্তিক কুমার চৌধুরী, জানি না সত্যি কোথাও সে আছে নাকি, আজ থেকে রাতের আকাশে আমি তার জন্য নিশ্চয় চোখ ভিজিয়ে ফেলব বারবার, আর চাই প্রতি মুহূর্তে সে একবার পাশে থাকুক সারা জীবন। প্রচ্ছদ এর পাতার লাল রং, মূল তিন চরিত্র,একটা বাইক সারা জীবন অন্তর এ থাকবে। আর থাকবে জীবনের শেষ দিন অব দি সবচেয়ে বেশি পুড়তে থাকা অবিনশ্বর চরিত্র জীবন্ত দেবতা সম ঋক। আমি ঋক কে প্রণাম জানালাম।
গলায় উঠে আসা ক্রমাগত দলাপাকানো কান্না গেলা সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই। নিজে চোখের সামনে সৃষ্টি, ধ্বংস লীলা দেখতে দেখতে আর একটি বার ঋক কে ছুয়ে দেখতে না পেয়ে আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত।
এখানেই শেষ করলাম ত্রিভুজ এর এক শীর্ষ বিন্দু তে থাকা ঋক, এক বিন্দু তে শারদীয়া আর এক বিন্দু তে জ্বলতে থাকা আমি ।
রিভিউটি লিখেছেনঃ Riya
আপনিও লিখতে পারেন রিভিউ। বিস্তারিত দেখুন এখানে।
ত্রিভুজ
সাথী দাস
যতদূর অন্যদের কাছে শুনেছি সাথী দাস এর প্রতিটা প্রেমের গল্প ই অসাধারণ তাই ত্রিভুজ টা পড়েই ফেললাম সত্যি বলতে কি এতটা আশা নিয়ে শুরু করিনি তবে পড়তে শুরু করার পর আর থামতেই পারিনি রিদ্ধি রিক আর শারদীয়া মূল গল্প চরিত্র এদের ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়েই মূল উপন্যাস। রিক আর রিদ্ধি দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রচন্ড ভালোবাসা। আর শারদীয়া সংক্ষেপে দিয়া রিদ্ধির ক্লাসমেট
ছোটবেলায় রিদ্ধি আর দিয়ার ঝগড়ার কারণে রিক দিয়া আর রিদ্ধি তিনজনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আর সেই জন্য দিয়ার মা নীলিমা আর রিক আর রিদ্ধির মা রমার ও বন্ধুত্ব হয়। দিয়া আর রিদ্ধি দুজনেই বিচ্ছু হওয়ায় বেশকিছুবার রিককে তাদের মাঝখানে পড়ে ঝগড়া থামাতে হয় আর বড় হওয়ার সাথে এবং সব বুঝতে শেখার সাথে সাথে রিক দিয়ার প্রেমে পড়ে যায় যেহেতু ছোটবেলায় রমা অর্থাৎ রিক আর রিদ্ধির মা দিয়াকে নিজের বড় ছেলে রিকের জন্য বউ করে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে নীলিমা র কাছে প্রকাশ করেন। তাই রিক নিজের কল্পনায় দিয়াকে প্রেমিকা এবং কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গিনী হিসেবে মেনে নেয়। আর রিক বরাবর ই পড়াশোনায় ভালো থাকার জন্য নীলিমা ও রীককে নিজের দিয়ার জন্য পারফেক্ট হিসেবে খুঁজে পায়
কিন্তু বড় হওয়ার পর সব ওলটপালট হয়ে যায় রিক দিয়া আর রিদ্ধির থেকে বড় হওয়ায় তার দিয়ার সাথে কথা বা সাক্ষাৎ খুব কম হতো কিন্তু রিকের প্রেমে একটুকুও ছেদ পড়েনি এর জন্য। সময় পেলেই সে তার হার্ড ডিস্কে ভরা শারদীয়ার ছোট বেলা থেকে সব ফটো বের করে দেখতে দেখতে সময় কাটিয়ে দেয় তাদের বাড়িতে শারদীয়া এলে একটিবার তার দেখা পাওয়ার জন্য আর তার গলা শোনার জন্য মরিয়া হয়ে যায়
অন্যদিকে রিদ্ধি ও দিয়ার প্রেমে পড়ে যায় ধীরে ধীরে এটা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু না তারা একই ক্লাস এর পড়ুয়া এবং দিয়া রিদ্ধি র বেস্ট ফ্রেন্ড।
আবার দিয়া তাদের স্কুল এ আসা নতুন একটি ছেলে ময়ূখ এর দিকে আকৃষ্ট হয় অন্যদিকে ময়ূখ ও দিয়াকে ভালবেসে ফেলে ময়ূখ এর খারাপ চরিত্র র ব্যাপার এ জেনে আর ফ্যামিলি ফানশন এ ময়ূখ এর স্পর্শ অস্বাভাবিক লাগায় দিয়া ময়ূখ এর থেকে দূরে সরে যায় আর ধীরে ধীরে রিদ্ধি কে ভালবেসে ফেলে।
দিয়া রিদ্ধি র জন্য কয়েক বছর অপেক্ষা করে যে কবে রিদ্ধি নিজের মুখে ভালোবাসার কথা বলবে অন্যদিকে রিদ্ধি তার ভালোবাসার কথা বোঝার জন্য কয়েক বছর সময় নেয় আর এই সুযোগ নিয়ে ময়ূখ বাববার দিয়াকে নিজের ভালোবাসার কথা বলে তাকে নিজের বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় অন্যদিকে রিক তো তার কাঙ্খিত জীবনসঙ্গিনী দিয়ার সাথে কল্পনায় নিজের সংসার সাজিয়ে বসে আছে।
কি হবে এদের ভবিষ্যৎ?!
জানতে হলে পড়ে ফেলুন সাথী দাশের ত্রিভুজ
Sorry ami review khub i baje likhi 😑😑
Apnara boita pore dekhun osadharon just !!